ঢাকা থেকে সাজেক যাবার উপায়(How To Go Sajek From Dhaka)

বাংলাদেশেররাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক অবস্থিত ।এটি  একটি  পর্যটনকেন্দ্র। সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটি জেলার ছাদ বলা হয়েথাকে। সাজেক যদি থেকে সাজেকভ্যালির নাম করুন করাহয়েছে।সাজেকেগেলে সর্বত্র মেঘ পাহাড় আরশুধু সবুজ আর সবুজদেখতে পাবেন সাজেক ভ্যালিথেকেই  সূর্যোদয়আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। সাজেকেররুইলুই পাড়া যেখান থেকে ট্রেকিং করেকংলাক পাহাড় যাওয়া যায়।কংলাক হচ্ছে সাজেক ভ্যালির  সর্বোচ্চচূড়া। কংলাকে যাবার পথে মিজোরাম সীমান্তেরবড় বড় পাহাড়, আদিবাসীদেরজীবনযাপন, চারদিকে মেঘেরআনাগোনা দেখা যায়। বছরেরনির্দিষ্ট সময়ে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়এবং তাদের সংস্কৃতির নানা উপকরণ উপভোগকরা যায়।

ঢাকা থেকে সাজেক যাবার উপায়

ঢাকা থেকে সাজেক যাবার উপায়:

কিভাবে আপনারাঢাকা থেকে সাজেক যেতেপারেন নিচে বর্ণনাকরছিঃ

ঢাকা থেকে সাজেকযেতে হলে শান্তি পরিবহনেকরে ঢাকা থেকে সরাসরিখাগড়াছড়ির (অনেকে রাঙ্গামাটির মধ্যে পড়েছে বলে) দীঘিনালা যাবেন।শান্তি পরিবহনই একমাত্র পরিবহন যা দীঘিনালা পর্যন্তযায়। ভাড়া পড়বে ৫৫০৫৮০ টাকা। দীঘিনালাথেকে সাজেকগামী গাড়ি (চান্দের গাড়ি) ভাড়া করতে হবে।ওরা হাজার  টাকারমতো চাইবে। দামাদামি করতে হবে। / হাজার টাকায়রাজি করানো সম্ভব যখন অফ সিজনথাকবে সিজনে এরথেকে আর অনেকবেশি চায় ওরা। সকাল১১টার দিকে আর্মি এস্করটেআপনাদের গাড়ি সহ অন্যান্যযাত্রীবাহী গাড়ি সাজেকের উদ্দেশেরওনা দিবে।

 আরেকটা আর্মি এস্করট পাবেন বিকাল ৩টায় যদিআপনি সাজেকে এক দিন থাকতেচান ,তবে গাড়ি আপনাদেরসাথে একদিন ওখানে থাকবে   আরযদি সেদিনই ফিরে আসতে চানতাহলে ১১টার এস্করটে সাজেক গিয়ে ৩টার এস্করটেফিরতে হবে দিনেগিয়ে দিনেই সাজেক থেকে ফিরে আসলেসাজেক যাওয়া শুধু শুধু যাবারমতন সাজেক ভ্যালির  আসলমজা বিকাল থেকে পরদিন সকালপর্যন্ত। পরের দিন ফেরারসময় সকাল ১১টার এস্করটেগাড়ি আপনাকে দীঘিনালা নামিয়ে দেয় , এমনভাবে ড্রাইভারের সাথে চুক্তি করতেহবে। যেন ড্রাইভার আপনাকেসাজেক, কংলাক পাড়া, কমলা বাগান ইত্যাদিঘুরিয়ে আনে অবশ্যইসাজেক ভ্যালি  থেকেফেরার পথে হাজাছরায় গাড়িথামিয়ে হাজাছরা ঝর্ণায় যেতে ভুলবেন না।

বি.দ্র. :

দীঘিনালা/বাঘাইয়াটি থেকে সাজেকগামী সিএনজি  মোটরসাইকেল  পাবেন।ভাড়া তুলনামূলক কম পাবেন তবে সেগুলোতে না যাওয়াই ভালো।কেননা সাজেকের রাস্তা অনেক উঁচুনিচু  মোটরসাইকেলকিংবা সিএনজিতে রিস্কটা বেশি। আমরা দেখেছিলাম খাড়াঢাল উঠতে গিয়ে একটামোটরসাইকেল যাত্রী সহ রাস্তায় পড়েগিয়েছিল। সুনসান এলাকা। এরকম রিস্ক নানেয়াটাই ভালো  

আর ও পড়ুন –

 সাজেক গিয়ে যদি রাতেথাকার প্ল্যান থাকে তবে অবশ্যইসাজেকে থাকার জন্য কটেজ, রিসোর্টকিংবা মোটেল আগে থেকেই বুকিংদিয়ে রাখবেন আগে থেকেই এসব জায়গায় থাকার জন্য দিন প্রতিভাড়া গুনতে হবে। এখানেও আপনাকেদামাদামি করতে হবে। যতকমে নিতে পারেন ততভালো তবে রুইলুইপাড়ার দিকে থাকার জন্যভাড়া নেবার চেষ্টা করবেন। কেননা সেদিকে হাতের কাছে দোকানপাটপাবেন। অবশ্য কংলাক পাড়ায় নাকি অনেক আদিবাসীতাদের ঘরেও থাকতে দেয়টাকার বিনিময়ে। এটা আমি শুনেছি।

ঢাকা থেকে সাজেক যাবার উপায়

স্থানীয় হোটেলগুলোতে খেতে পারবেন। তবে কি খাবেন তা আগে থেকেই  অর্ডার করতে হবে। খাওয়া খরচ তুলনামূলক  বেশি।কাপল ছাড়া যদি বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যান তবে ৭-১০ জনের গ্রুপে যাবেন। খরচ খুব কমে যাবে। এছাড়া ৫-৬ জনের গ্রুপ হলে সাজেকগামী আরেকটা গ্রুপ খুঁজে নিবেন। এরকম অনেকেই করে থাকে। এতে করে যাতায়াত ভাড়াটা কমে যাবে। 

  সাজেকে ইলেক্ট্রিসিটি নেই সোলারপাওয়ারে বাল্ব জ্বালায় সেখানে। তাই অবশ্যই সাথেপাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যেতে পারেনমোবাইল ফোন চার্জ দেয়ারজন্য।  সেখানে রবি টেলিটকেরসিম ছাড়া অন্য কোনসিমে নেটওয়ার্ক পায় না বললেইচলে সকলের সাথেযোগাযোগ রক্ষার্থে রবি সিম নিয়েযেতে পারেন।   

সবচেয়ে বড় কথা  হল সাজেকে পানিরখুবই অভাব। আদিবাসীরা অনেক নিচ থেকেকষ্ট করে পানি তোলে, নিজেদের ব্যবহারের জন্য  বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে।অবশ্যই সেখানে পানির অপচয় না করারচেষ্টা করবেন।আর পর্যাপ্ত পরিমান খাবার পানি সাথে করেনিয়ে যাবেন। 

অন্য পোস্ট :সিরাজগঞ্জের বিখ্যাত খাবার কি

  

7 comments

Comments are closed.