নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ২০২২
যাদের বয়স ১০ বছরের কম তাদের জন্ম নিবন্ধন করতে হলে অবশ্যই তাদের টিকা কার্ড বা মেডিকেল কার্ড লাগবে বয়স প্রমান করার জন্য। পাশাপাশি বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও লাগবে। জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই ।স্থায়ী ঠিকানা বা যেখানে জন্ম হয়েছে সেখানে করতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা প্রমান করার জন্য বাড়ির খতিয়ানের ফটোকপি জমা দিতে হবে। অথবা যদি ট্যাক্স রাশিদ থাকে সেটি জমা দিলে ও হবে। হোল্ডিং নম্বর এর কাগজ থাকলে তা জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন এর জন্য কি কি লাগবে
৪০ বছরের কম হলে: আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের কম হয় তাহলে আপনি আপনার বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই আপনার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। এর জন্য শুধু আপনার বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিলেই হবে। পাশাপাশি বাড়ির খতিয়ানের ফটোকপি,হোল্ডিং নম্বর এর কাগজ,শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগবে।
৪০ বছরের বেশি হলে:৪০ বছরের বেশি বয়স হলে তাদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য কোনো কিছুই লাগবে না। বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে না । শুধু বাড়ির খতিয়ানের ফটোকপি,হোল্ডিং নম্বর এর কাগজ,শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ লাগবে।
আসা করি আপনার এই সকাল ডকুমেন্ট থাকলে আপনি জন্ম নিবন্ধন খুব সহজেই করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন ফি :
যাদের বয়স ৪৫ দিনের কম তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধন ফি একদম ফ্রি। এর পর যাদের বয়স ৪৫ দিনের বেশি তাদের জন্ম নিবন্ধন ফ্রি প্রতি বয়সের জন্য ১০ টাকা। ১ বছর বয়স হলে ১০ টাকা ,২ বছর বয়স হলে ২০ টাকা। যত বয়স বেশি হবে তত ফ্রি এর পরিমান ও বেশি হতে থাকবে। বয়স ভেদে ১০ টাকা হরে বাড়বে।
অনলাইনে সঠিক পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২২:
আমি এখন আপনাদের কে দেখাবো কি ভাবে অনলাইনে ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন ফরম টি পূরণ করবেন। প্রথমে আপনাদেরকের নিচের এই লিংক http://bdris.gov.bd/br/application এ ক্লিক করে ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে হবে।
উপরের ছবিতে আপনারা জন্ম নিবন্ধনের সনদ কোন ঠিকানা থেকে নিবেন তার নাম দিতে হবে. অবসসই এটি আপনাদের স্থায়ী ঠিকানা বা জন্মস্থান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমান ঠিকানা থেকে কিন্তু সংগ্রহ করতে পারবেন না।
এছাড়া কার ও মা বাবা আজাদী বিদেশী হয় অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিক না হয় সেক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই দূতাবাস থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে । এর পর পরবর্তী তে সিলেক্ট নেক্সট পেজ এ চলে যাবেন। এবং এই রকম একটা ইন্টারফেস চলে আসবে।
ফরম টি সম্পূর্ণ পূরণ করে পরবর্তী তে ক্লিক করলে এমন ইন্টারফেস চলে আসবে।
এবং এখানে পিতা মাতার তথ্য দিতে হবে। যাদের বয়স ৪০ এর উপরে তাদের তথ্য দিতে হবে না।আপনাদের জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা যদি এক হয় এক ই হয় তাহলে পরবর্তী দিলেই হবে। আর যদি জন্মস্থান এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হয় তাহলে আলাদা করে পুরণ করতে হবে।
এর পর আবেদন কারীর বয়স যদি ১৮ বছর এর কম হয় তাহলে অন্যানো সিলেক্ট করতে হবে। আর ১৮ বছরের বেশি হলে নিজ সিলেক্ট করতে হবে।
এর পর মোবাইল নম্বর টি দিতে হবে। ইমেইল নম্বর না দিলে ও হবে। এরপর আপনি পরবর্তী সিলেক্ট করলে আপনি সবকিছু দেখতে পারবেন ,যে গুলো আবেদন করেছেন।
সব তথ্য ভালো করে দেখা নিবেন। যদি কোনো ভুল থেকে থাকে তাহলে পূর্বে গিয়ে ঠিক করে নিবেন। এরপর সাবমিট বাটন এ ক্লিক করলে সাবমিট হয়ে যাবে।
আর যদি error দেখায় তাহলে একটু অপেক্ষা করবেন,রিফ্রেশ করবেন নঃ । তাহলেই হবে যাবে।সাবমিট সমূর্ণ হবার পর আপনি যেই মোবাইল নম্বর টি দিয়েছেন সেই নম্বর এ একটি sms যাবে এবং আবেদন পত্রের নম্বর টি পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে হারিয়ে গেলে আবার সেই নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন উঠতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম দেয়া হলো :
ওয়েব সাইটে প্রবেশের পর একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন। যা দেখতে এই রকম হবে।আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে প্রথম খালি বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান। তারপর জন্ম নিবন্ধন সনদ এ থাকা ১৭ ডিজিটের নাম্বার প্রদান করুন।
দ্বিতীয় বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন সনদে থাকা জন্ম তারিখ প্রদান করুন।আর কারো জন্ম তারিখ যদি ১৯৯০ সালের জানুয়ারীর ১ তারিখ হয় তাহলে দ্বিতীয় বক্সটিতে (1990-01-01) এভাবে লিখতে হবে।দুইটি বক্সেই সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে ভেরিফাই (Verify) – তে ক্লিক করতে হবে। ভেরিফাই (Verify) – তে ক্লিক করার পর যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন তার জন্ম নিবন্ধনে থাকা সকল তথ্যগুলো স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
প্রদর্শিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে। আর যদি ভেরিফাই (Verify) – তে করার পর Matching Birth Records Not Found লেখা আসে তাহলে উল্লিখিত বক্সে দুইটিতে প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বা জন্ম তারিখ যেকোনো একটিতে ভুল দেয়া হয়েছে।
প্রবাসীদের জন্ম নিবন্ধন :
বাংলাদেশের ২০০৪ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, যে কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের জন্মের ৪৫(পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে একজন মনোনীত জন্ম নিবন্ধকের (বাংলাদেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করলে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন) এর কাছে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। শিশু জন্মের ৪৫দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বিনামূল্যে করা হয়, যার পরে একটি ফি দিতে হবে।
Requirements::ধাপ 1: সমস্ত আবেদনকারীদের জন্য, একটি জন্ম নিবন্ধন আবেদন অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। BDRIS আবেদনপত্রের জন্য আবেদন করতে অনুগ্রহ করে http://bdris.gov.bd/br/application লিঙ্কে ক্লিক করুন। উপরের লিঙ্কটি কাজ না করলে অনুগ্রহ করে আপনার ব্রাউজারে লিঙ্কটি কপি এবং পেস্ট করুন। একবার অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন হলে, অনুগ্রহ করে আবেদনের একটি অনুলিপি প্রিন্ট করুন এবং নিম্নলিখিত নথিগুলি সংযুক্ত করুন:
ধাপ ২:
প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য:
মোবাইল নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা সহ যথাযথভাবে কভার পৃষ্ঠা পূরণ করুন (অনুগ্রহ করে ডাউনলোড লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করুন)
- আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
- বাংলাদেশ পাসপোর্টের সার্টিফাইড কপি;
- জন্ম শংসাপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি;
- প্রাপ্তি রশিদ;
- বিদেশে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের সন্তানের জন্য:
- পিতামাতার ডিজিটাল জন্ম শংসাপত্র (২০০১সালের পরে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য);
শিশুর বিদেশে জন্মের শংসাপত্র (মূল) বা, একজন JP/GP/পুলিশ/ফার্মাসিস্ট দ্বারা সত্যায়িত বিদেশের জন্ম শংসাপত্রের একটি ফটোকপি;একটি ফটোকপি সহ অভিভাবকদের মধ্যে যেকোনো একজনের আসল বাংলাদেশ পাসপোর্ট (বৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ) অথবা, একটি JP/GP/পুলিশ/ফার্মাসিস্ট দ্বারা সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য পৃষ্ঠার একটি ফটোকপি অভিভাবকদের মধ্যে যেকোনো একজনের মোবাইল নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা।[মেল-ইন-সার্ভিসের ক্ষেত্রে স্ব-অ্যাড্রেসড ট্র্যাকযোগ্য প্রি-পেইড খাম]
N.B.: নথির সম্পূর্ণ সেট পাওয়ার পরে জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া করা হবে। বাংলায় আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে BLOCK অক্ষর ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তথ্য ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে।
প্রক্রিয়াকরণের সময়: সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার ১৫দিন পরে
ফি:
- জন্মের ৪৫দিনের মধ্যে: বিনামূল্যে
- জন্মের ৪৫দিন পর: ২ ডলার
প্রতিটি পরিষেবার জন্য আলাদা অর্থ প্রদান করুন।অনুগ্রহ করে হাই কমিশনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের কমপক্ষে 03 কার্যদিবস আগে বা হাই কমিশন কর্তৃক নথি প্রাপ্তির (ডাক দ্বারা নথি পাঠানোর ক্ষেত্রে) ফি স্থানান্তর করুন কারণ ব্যাঙ্কগুলি লেনদেন পরিষ্কার করার জন্য তিন কার্যদিবসের প্রয়োজন।অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সহ আবেদনগুলি নিবন্ধিত মেইল/কুরিয়ার দ্বারা নিম্নলিখিত ঠিকানায় পাঠানো হবে, বা ব্যক্তিগতভাবে জমা দেওয়া হবে:
ডেলিভারি: নথির বিতরণ নিম্নলিখিত উপায়ে প্রাপ্ত করা যেতে পারে:ব্যক্তিগতভাবে আবেদনকারী দ্বারা; অথবা,অনুমোদিত ব্যক্তি দ্বারা। এই ক্ষেত্রে, ডেলিভারি স্লিপ ছাড়াও আবেদনকারীর দ্বারা জারি করা অনুমোদনের চিঠির পাশাপাশি অনুমোদিত ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণ (ছবির আইডি যেমন ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদি) প্রয়োজন হবে; অথবা,ডাকযোগে। এই ক্ষেত্রে, আবেদন পাঠানোর/জমা দেওয়ার সময় একটি স্ব-পরিচিত প্রি-পেইড এক্সপ্রেস খাম/কুরিয়ার (ডেলিভারিতে স্বাক্ষর) হাই কমিশনে পাঠানো হবে।
অন্য পোস্ট : খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ডাক্তারের তালিকা