রাজবাড়ীর স্মৃতিসৌধ |
রাজবাড়ীজেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
১৯৭১সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশস্বাধীন হলেও রাজবাড়ী জেলা মুক্তহয় ১৮ ডিসেম্বর। কারণএখানে বিহারি, পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকার রাএক হয়ে যুদ্ধ অংশনেয়। তাই ১৬ তারিখদেশ স্বাধীন হলেও রাজবাড়ী বিহারিও রাজকারদের দখলে থাকায় রাজবাড়ীমুক্ত হতে দেরি হয়।রাজাকার ও অবাঙালি বিহারিদেরসাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের১৮ই ডিসেম্বর রাজবাড়ী জেলা হানাদার মুক্তহয়।
রাজবাড়ীতেসর্ব প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উড়ান আওয়ামী লীগনেতা নাজিবর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেনলতিফ বিশ্বাস, আমজাদ হোসেন, চিত্তরঞ্জন গুহ, ফরিদ আহম্মেদ।মজিব বিল্ডিং এর উপরে ৭মার্চ মহান স্বাধীনতার পতাকাউত্তোলন করা হয়।
রাজবাড়ীতেমুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হনআব্দুল আজিজ খুশি, আঃছাদেক, পাংশার আঃ রফিক, আঃশফিক সহ আরও অনেকেশহীদ হন। যুদ্ধে আহতহন বাকাউল আবুল হাসেম, ইলিয়াছ মিয়া, শহিদউদ্দিন, আঃ গফুর ও হাতেমআলীসহ আরো অনেকে।
পাংশাযুদ্ধ ও বিজয়:
পাংশাএলাকার মুক্তিবাহিনী, মুজিব বাহিনী পাংশা থানা আক্রমণের একটিমহাপরিকল্পনা নিয়ে ৬ ডিসেম্বরআক্রমণের দিন ধার্য করেন।কিন্তু আক্রমণ করতে এসে দেখেনথানার বাঙালি পুলিশ ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদেরস্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে। পাংশা এলাকার মুক্তিবাহিনী এবং মুজিব বাহিনীথানায় অবস্থান নেয়। ওড়ানো হয়স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
বালিয়াকান্দিথানা ও কালুখালী দখল:
পাকিস্তানিবাহিনী ও রাজাকারদের ক্যাম্পছিল কালুখালী রেলস্টেশনে। মুজিব বাহিনী ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এই ক্যাম্পআক্রমণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু পাকিস্তানিহানাদার বাহিনী রাজাকারদের রেখে আগের রাতেক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায়।পরের দিন রাজাকারদের সঙ্গেযুদ্ধ সংঘটিত হয়। পুরো একরাতগুলি বিনিময়ের পর রাজাকার বাহিনীআত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেসমস্ত অস্ত্র চলে আসে।
বালিয়াকান্দিথানায় ছিল পুলিশ ওরাজাকারদের মজবুত ডিফেন্স। এখানে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে যুদ্ধ করারমতো ছিল একটি বাংকার।
নভেম্বরেরপ্রথম দিকে মুক্তিবাহিনী ওমুজিব বাহিনী যৌথভাবে বালিয়াকান্দি থানা আক্রমণ করে।মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর দোসর পুলিশ ওরাজাকার বাহিনী ঘাবড়ে যায়। মাত্র ঘন্টাখানেকগুলি বিনিময়ের পরপরই তারা আত্মসমর্পণ করে।
বালিয়াকান্দিথানা আক্রমণ:
ডিসেম্বরেমুক্তিযোদ্ধারা বালিয়াকান্দি থানা আক্রমণ করে।চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিবর্ষণেরফলে পাকিস্তানি পুলিশ–রাজাকার বাহিনী আতংকে পড়ে যায়। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের প্রতিউত্তরে থানা থেকে প্রচুরগুলু ছুঁড়তে থাকে পুলিশ ওরাজাকার বাহিনী। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদেরগুলি শেষ হয়ে যায়।মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে শুরুকরে কিন্তু পরবর্তীতে আবার মুক্তিযোদ্ধারা বুদ্ধিমত্তারপরিচয় দিয়ে রণকৌশল পরিবর্তনকরে থানার নিকটবর্তী নদী পার হয়েথানার নিকটে এসে সম্মিলিতভাবে গ্রুপফায়ার শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারাজয়বাংলা স্লোগানে থানার চারদিক ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধানজরুল ইসলাম গ্রুপ খুবই দ্রুতগতিতে আগাতেথাকলে হঠাৎ মুজিব বাহিনীরডেপুটি কমান্ডার আঃ ওহাব পুলিশেরগুলিতে আহত হন। তারপরেওদ্রুত বেগে জয়বাংলা স্লোগানেচারদিক থেকে আগাতে থাকেমুক্তিযোদ্ধারা। এর কিছুক্ষণ পরবিহারি–পুলিশ, রাজাকার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। প্রচুর পরিমাণঅস্ত্র, গুলি বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরদখলে আসে। পাকিস্তানি পতাকানামিয়ে বাংলাদেশের লাল–সবুজ পতাকাওড়ানো হয়।
গোয়ালন্দঘাট বিজয়:
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে গোয়ালন্দঘাট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওজনতার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ১৫ডিসেম্বর গভীর রাতে পাকিস্তানিহানাদার বাহিনী ফরিদপুরের দিকে পিছু হটতেথাকে। ফলে বিনা যুদ্ধেবীর মুক্তিযোদ্ধারা গোয়ালন্দ ঘাট নিজেদের নিয়ন্ত্রণেনেয়। ১৬ ডিসেম্বর ভোরেগোয়ালন্দ ঘাট থেকে মুক্তিযোদ্ধারাফরিদপুর নর্থ চ্যানেল মমিনখাঁর হাট সংলগ্ন বিহারিদেরসাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। বিহারিদের বন্দিকরে বিকেলের দিকে গোয়ালন্দ নিয়েআসে। এই যুদ্ধের নেতৃত্বদেন কমান্ডার রফিকুল ইসলাম। আনুমানিক সকাল ৮.৩০মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরে এক যুদ্ধের পরবাহিরিদের শোচনীয় পরাজয় হয়। রাজবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধারাচারদিক থেকে আক্রমণের পর১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী মুক্ত হয়।
অন্য পোস্ট : ওশেনিয়া মহাদেশ কে আবিষ্কার করেন
Rajbari manei valobasha 🥰
Nice
Nirible akta shohor
Shantir sohor
Very knowledgeable information
Rajbarir Manus onk vlo